শরীফ সাথী এর একগুচ্ছ কবিতা



কেউ কি রাখে খোঁজ 


বৃক্ষ জুড়ে হরেক রকম 
পাখির ভালোবাসা, 
কিচির মিচির ছন্দ মুখর
আঁখির আলো আসা। 
সবুজ পাতার মিষ্টি ডালে 
দৃষ্টি মেলে নাচা,
মন গহীনে আনন্দ সুর 
নিত্য সুখে বাঁচা।
ভীষণ রকম ভালোলাগা 
কেউ কি রাখে খোঁজ, 
মুখের কারুকার্যে বাসা 
যায় বুনিয়ে রোজ।



প্রজাপতির পাখা


শিশির কণা সবুজ ঘাসের 
লতাপাতায় মাখা, 
রোজ সকালে যায় ভিজে যায় 
প্রজাপতির পাখা।
তবুও ওড়ে আপন মনে 
বাংলাদেশের শ্যামল বনে
আনন্দে নাচ হরহামেশা 
মধুর চিত্র আঁকা, 
সুখে দুখে প্রতিদিনই 
রোদের আশায় থাকা। 



ফুল পাখিদের হাট


আমার দেশের সবুজ বনের 
কচি পাতার শীষে,
পাখির গানে ফড়িং নাচার 
দৃশ্য আছে মিশে। 
ফুল ফসলের মাতামাতি 
ভীষণ রকম মিষ্টি, 
পুষ্পে ঘোরা প্রজাপতি 
নেয় কেড়ে নেয় দৃষ্টি। 
শ্যামল কমল শহর গাঁয়ের 
মাঠের পরে মাঠ,
নদী বিলের সবুজ কোলে 
ফুল পাখিদের হাট। 




দারুণ ছবি আঁকা 


মায়া ভরা  রুপ মাধুর্য 
আছে সে কোন বিশ্বে,
দুচোখ আমার যায় জুড়িয়ে 
বঙ্গ মাঠের দৃশ্যে।
সবুজ বুকে অবাধ সুখে 
প্রজাপতি ওড়ে,
এ ডাল সে ডাল লতাপাতা 
পুষ্প খুঁজে ঘোরে। 
বক পাখি দল কেউ মেলে যাই 
নিত্য সুখে পাখা,
ফল ফসলে ঢেউ খেলে যায় 
দারুণ ছবি আঁকা। 



দারুণ তো বেশ 


হেমন্ত শীত সবুজ ঘাসে 
যুক্ত আনা, 
ঝিরিঝিরি শিশির কণার
মুক্ত দানা। 
প্রতি ভোরে বিভোর ঘোরে
সানন্দ ডুব, 
পরশ বুলাই কমল কোলে 
আনন্দ খুব। 
প্রকৃতির এই অবাধ নীড়ে 
বাড়ন্ত রেশ,
মন মহিমা চোখ জুড়ানো 
দারুণ তো বেশ। 




ঢেউ বয়ে যায় 


যাকে আমি করি খোঁজ,
নয়ন ভরে দেখি রোজ।
নদীর জলে পদ্ম দোলা
পানকৌড়ি বক আত্মভোলা 
বাইছে ডিঙি জেলের পোলা 
জল তরঙ্গ স্বচ্ছ ঘোলা 
দৃশ্য শত আছে খোলা 
জেলের জালে মাছে তোলা। 
ঢেউ বয়ে যায় 
কেউ কয়ে যায় 
নদীর বুকে কতো আহার, 
পাখির গানে 
মুখর তানে
এপাড় ওপাড় বৃক্ষ বাহার!  





Powered by Blogger.